শাশুড়ির 12 লাখ টাকার কিলারে খুন হয়েছেন নায়ক সালমান শাহ !
ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ। শুধু নব্বই দশকের নয় বরং বর্তমান প্রজন্মের মাঝেও তিনি জনপ্রিয় হয়ে আছেন। মুত্যুর ১১ বছর পার হবার পরেও তার জনপ্রিয়তা এখনো কমেনি। সালমান শাহ'র মুত্যুর রাতটি ছিল বড়ই নির্মম। সেই ঘটনার বর্ণনা দেন 11 নম্বর আসামি রেজভি আহমেদ ফরহাদ। জবানবন্দিতে রেজভি হত্যার দায় স্বীকার করেন। তিনি বলেন, এই হত্যায় সালমানের স্ত্রী সামিরা ও তার পরিবার সহ অনেকেই জড়িত ছিল। ১৯৯৭ সালের ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে রেজভি বলেন, সালমান শাহ মুত্য ছিল 12 লাখ টাকার হত্য চুক্তি। এই চুক্তিটি করেন সালমান শাহর শাশুড়ি লতিফা হক লুসি। এই চুক্তিতে আরো ছিলেন খলনায়ক ডন, ফারুক, জাভেদ ও ডেভিড।
১৯৯৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর গুলিস্তানের একটি বারে রাত ৮ টার দিকে ডন, ফারুক, জাভেদ ও ডেভিড দেখা করেন। ঐদিন ছাত্তার ও সাজু নামে আরো দুইজন ছেলে আসে।
তারপর ফারুক আসে।
২ লাখ টাকা দিয়ে বলেন এই টাকা সামিরার মা দিয়েছেন। সালমান শাহ্ কে হত্যার জন্য ১২ লাখ টাকা দিবেন। ২ লাখ টাকা নিয়ে ফারুকের সাথে ডনের কথা কাটাকাটি হলে
ফারুক আরো 4 লাখ টাকা নিয়ে আসেন। ফারুক বলেন, কাজের আগে ৬ লাখ আর কাজের পর ৬ লাখ। রাত আড়াইটার দিকে ডন, ফারুক, আজিজ ভাই, ডেভিড সালমান শাহর বাড়িতে যান। রেজিঃ বলেন, সেই রাতে ঘুমন্ত সালমানের উপর ঝাপিয়ে পড়েন তারা। এই হত্যাযজ্ঞে সেখানে ছিলেন সামিরা, লুসি ও আত্বীয়া রুবি। ঘুমন্ত সালমানকে ক্লোলোফম দিয়ে বেহুঁশ করে সামিরা। খানিকক্ষণ পর সালমান জাগনা পেলে সবাই ধস্তাধস্তি শুরু করেন। সালমান শাহর শরীরে ইনজেকশন পুশ করতে বলেন আজিজ ভাই। এরপর সালমানকে হত্যা করে সিলি়ং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
